শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে ইটভাটা শ্রমিক আমিন আহমদ সিয়াম(১৭) নামের কিশোরকে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে থানা পুলিশ। আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) থানা কম্পাউন্ডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই দাবি করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ২৪ ঘন্টার ভেতরে এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছেন দাবি করে বলেন, এ ঘটনায় আলামতসহ প্র্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছেন। ওই প্রধান আসামী উপজেলার রামপামা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর (কান্দি) গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে আরকুম আলী(৪০)।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় তার নিজ বাড়ি থেকে আরকুম আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আসামী বলেছে যে নিহত আমিন আহমদ সিয়ামকে সে বলাৎকার করেছে। আর এই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে সিয়ামের সাথে থাকা টাওয়াল দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
এছাড়াও আসামীর স্বীকারোক্তিতে ঘটনাস্থল থেকে নিহত সিয়ামের ব্যবহৃত টাওয়াল, প্যান্ট, শার্ট, জুতা ও ব্যাল্ট উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার তাকে সিলেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে হবে বলে জানান তিনি।
“নিখোঁজের’ ৩দিন পর শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ইটভাটার পূর্বে রামপাশা ইউনিয়নের ধুপড়িখাল বিলের একটি ঝুপ থেকে সিয়ামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নিহত আমিন আহমদ সিয়াম ‘নিখোঁজ’ হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) তার বাবা বাদি হয়ে ‘নিখোঁজের’ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরী নং-৯২১।
আর এই ‘নিখোঁজের’ ৩দিন পর শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) তার লাশ উদ্ধার হলে রাতে সিয়ামের বাবা ইটভাটা শ্রমিক সরদার আকবর আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী রেখে থানায় মামলা করেন। মামলা নং-৮/১৭৫। আর এই মামলায় আসামীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
তবে বাদি আকবর আলীর অভিযোগ ছিল ইটভাটার মেশিন মেকার চান্দ আলী(৫৩) তার ছেলেকে হত্যা করেছে। তাই ঘটনার দিন জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য মেশিন মেকারসহ দু’জনকে আটকও করেছিল পুলিশ। আটক হওয়া অপরজন ট্রাক্টর চালক রবিউল ইসলাম(৪৮)।